করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'নিম্বাস' ; কিভাবে সুরক্ষিত থাকবেন ?

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে COVID-19 এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘নিম্বাস’। গবেষকদের মতে, এ ভ্যারিয়েন্ট পূর্ববর্তী সকল ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি ভয়াবহ এবং সংক্রমণ ক্ষমতায়ও অত্যন্ত দ্রুতগতির। ইতোমধ্যে প্রায় ২০টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া ও ইউরোপের কয়েকজন ভ্রমণকারীর মধ্যে ‘নিম্বাস’ শনাক্ত হয়। এর পাশাপাশি ওমিক্রনের আরও কয়েকটি সাব-লাইনেজ—যেমন XFG, XFC, JN.1, LF.7 ও BA.2.86—বিভিন্ন দেশে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (icddr,b)-এর গবেষণায় XFG ও XFC সাব-লাইনেজের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, ‘নিম্বাস’ ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গগুলো কিছুটা ব্যতিক্রমী। সাধারণত করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশি দেখা গেলেও এ ভ্যারিয়েন্টে তা প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশি দেখা দিচ্ছে জয়েন্টে ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, গলা ও পিঠে ব্যথা এবং শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণজনিত নিউমোনিয়ার ঝুঁকি। পাশাপাশি অনেকের ক্ষুধা হঠাৎ কমে যাচ্ছে, ফলে শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চললে নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ থেকে বাঁচা সম্ভব। যেমন—
জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলা,
বাইরে বের হলে মাস্ক পরা,
সব সময় ১.৫ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা,
হাঁচি-কাশি না থাকলেও ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করা।
এছাড়া, যদি উপরে উল্লেখিত কোনো উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বিশেষজ্ঞরা অনুরোধ করেছেন।
মাহতাবুল ইসলাম প্রান্ত
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: