যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করলেন ঢাকা জেলা প্রশাসন

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত ঢাকা জেলা প্রশাসনের

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর, শনিবার অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম শামীমুল হক ছিদ্দিকী, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফায়জুল ইসলাম ও জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের মহান বিজয় দিবস পালন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধ ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিভিন্নভাবে সন্মানীত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল সারা জীবনের। আমরা দেখেছি অতিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খন্ডিত করা হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মানীত করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে পরিচয় দিতে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতেন। সেই জায়গা থেকে আজকে আমরা বেড়িয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, ৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬, সালের ছয়দফা, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ সালের নির্বাচন এবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার ছিল সবচেয়ে দক্ষ সরকার। এত শক্তিশালী সরকার আর কোথাও ছিল না। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি সেক্টরে হাত দিয়েছিলেন। তিনি যেমন শহরকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তেমনি গ্রামকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কোথাও তিনি বৈষম্য করেননি। আজকের বর্তমান সরকারও বৈষম্য করেনি, গ্রাম ও শহরকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩৪ বছরে জীবনে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন- শুধু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজের জন্য।

সভাশেষে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top