সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর

শুক্রবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত ২৯তম বিসিএস-এর একাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যায়ী ২৯তম বিসিএস' শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত ২৯তম বিসিএস-এর একাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যায়ী ২৯তম বিসিএস' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে সকল খাতে উন্নয়ন দরকার। উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করেছে। যার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি স্ব স্ব জায়গা থেকে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করি তাহলে দেশকে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন হয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ হবে।

স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, আজকে যে বাংলাদেশে দাড়িয়ে আমরা কথা বলছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গরব। উন্নত বাংলাদেশ যদি গড়তে হয় তাহলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা। সোনার বাংলা গড়তে হবে।

আমরা নিম্নমধ্যা আয়ের দেশ ক্রস করেছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশে ২ হাজার ৮২৪ ডলার পার ক্যাপিটাল ইনকামের দেশ। আমরা নিম্নমধ্যায়ের দেশের সীমানা ক্রস করছি বহু আগে। এখন যদি উচ্চমধ্যায়ের দেশে পরিণত হতে হয় তাহলে আমাদের সাড়ে ৬ হাজার ডলার পার ক্যাপিটে ইনকাম লাগবে। উচ্চ আয়ের দেশ হতে হলে আমাদের সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় হতে হবে। আমরা যদি সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করি তাহলে আমরা উচ্চ আয়ের লক্ষ্যমাত্রার দেশে পৌঁছাতে পারবো।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। এই উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করা হয়। প্রতিটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রতি বছর বাজেট করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে সরকার গঠন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এরমধ্যে অনেকগুলো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বাজেট ধারি যে সমস্ত ডিমান্ড আছে সবগুলোই ফুলফিল করা হয়েছে বলেই আজকে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমার দেশ এমন একটা জায়গায় যাবে অনেক উন্নত দেশ হবে। আমি এই স্বপ্নটা তো এখন দেখতেই পারি। সেই স্বপ্নটা পূরণের জন্য আমার মেয়াদকালে আমি তো অবদান রাখতেই পারি। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো আমাদের এমন একটা মানুষিকতা নিয়ে কাজ করা দরকার।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ী ২৯তম বিসিএস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ২৯তম বিসিএস অল ক্যাডার ফোরামের সভাপতি মমতাজ বেগম। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, ২৯তম বিসিএস অল ক্যাডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী। সিনিয়র সহকারী সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মৌসুমি মাহবুব, মীজানুর রহমান, মউরিন করিম,আসমা উল হুসনা, লিজা, ডেপুটি কমিশনার ট্যাক্স মো. সাজিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মাহফুজ আল মাহমুদ, স্নিগ্ধা বাউল, মো. শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায়, ডা. আহম্মেদসহ প্রমুখ।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top